সর্বশেষঃ
সাবেক ১২ মন্ত্রীসহ ১৪ জনকে আজ হাজির করা হচ্ছে ট্রাইব্যুনালে দীপু মনির সুপারিশে মাউশিতে তিন হাজার পদায়ন শিক্ষা ভবনের সামনে ৭ কলেজ ছাত্রের বিক্ষোভ এবং সড়কে পুলিশ ব্যারিকেড ২০২৫ সালে হজে নিবন্ধন শেষ হয়েছে ৪৩,৩৭৪ জনের প্রতিটি চার নারীর মধ্যে তিনজনই সহিংসতার শিকার: স্বাস্থ্য ও সামাজিক জরিপ ঢাকার সাবেক চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রেজাউল করিম সাময়িক বরখাস্ত শীতের আগমনী বার্তা: আবহাওয়া অফিসের শৈত্যপ্রবাহের আগাম সতর্কতা নির্বাচনে মাঠ প্রশাসনকে নিরপেক্ষভাবে কাজ করার নির্দেশ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার মির্জা ফখরুল বলছেন, এ দেশের মানুষ পিআর পদ্ধতি গ্রহণ করবে না সচেতনতা ও টিকাদানেই টাইফয়েড নিয়ন্ত্রণ সম্ভব: নূরজাহান বেগম স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা: আমার ছেলে-মেয়েরা দেশে, আমি কি ভাবে নিরাপদ থাকব? প্রধান উপদেষ্টা রোমের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করলেন
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত জনগণই নেবে, কোনো আদালত বা সরকার নয়

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত জনগণই নেবে, কোনো আদালত বা সরকার নয়

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এ জেড এম জাহিদ হোসেন উল্লেখ করেছেন, দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও সরকারের সিদ্ধান্তের পরিবর্তে শেষ সিদ্ধান্ত সবসময় জনগণের থাকবে। তিনি বুধবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে আজহার শফিক ফাউন্ডেশনের আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।

জাহিদ হোসেন মনে করেন, জনগণের হাতেই থাকবে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত দেওয়ার ক্ষমতা। বিএনপি সবসময় বলেছে, আওয়ামী লীগের বিচার জনগণই করবে। দলের নেতাকর্মীরা মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে যখন অবজ্ঞাসূচক কথা বলে এবং ২০২৪ সালের গণহত্যা, ভোট রাতে দেওয়ার ষড়যন্ত্র, কিংবা প্রতিহিংসাপরায়ণ কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে, তখন তাদের জন্য জনগণের কাছে ক্ষমা চাওয়ার সময় এসেছে।

তিনি আরও বলেন, ‘জনগণ দীর্ঘদিন ধরে তাদের প্রতিনিধিকে নির্বাচন করতে পারেনি। তবে ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে নির্বাচনের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। আমরা চাই, এই নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সত্যিকারের প্রতিনিধির নির্বাচন হোক।’

জনপ্রিয়তা ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের উন্নতির প্রসঙ্গ তুলে জাহিদ হোসেন বলেন, “১৯৯০ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ১ অক্টোবরকে ‘আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস’ হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। একসময় বাংলাদেশের গড় আয়ু ছিল ৪৭ বছর, যা বর্তমানে বেড়ে ৭৩ বছর হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবুও, সরকারি চাকরিতে প্রবীণদের নির্দিষ্ট বয়সের পরে প্রয়োজনে আর থাকতে দেওয়া হয় না, যদিও দেশের শীর্ষ উপদেষ্টাদের অনেকেই এখন প্রবীণ। আমাদের উচিত, প্রবীণদের জন্য মানসিক ও সামাজিক সমর্থন নিশ্চিত করা।”

সরকারি অফিসে প্রবীণদের নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে জাহিদ হোসেন বলেন, “ঢাকা মেডিকেলে গিয়ে দেখা যায়, এই বয়সের মানুষকেও লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট কাটতে হয়, যারা স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশগুলোতে সম্মান পালনায় প্রবীণদের নিরাপদ বৃত্তে রাখা হয়। আমাদের সংস্কৃতি এখনো সেই পর্যায়ে পৌঁছায়নি।”

তরুণ ও প্রবীণ প্রজন্মের মধ্যে সুসম্পর্কের গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, “আজকের তরুণেরা একদিন বৃদ্ধ হবে। তাই প্রজন্মের মধ্যে বোঝাপড়া ও সম্মান তৈরির প্রয়োজন। জাতি যত বেশি নিজের উত্তরাধিকার ও প্রবীণদের সম্মান করে, ততই তার দীর্ঘ সময় ধরে টিকে থাকার সম্ভাবনা বাড়ে।”

প্রবীণদের সম্মান ও কল্যাণ নিশ্চিত করতে সরকারের দায়িত্বের ওপর জোর দিয়ে জাহিদ হোসেন বলেন, “সমাজ আমাদের সকলের। প্রবীণদের জন্য আলাদা সুযোগ-সুবিধা ও বাজেট রাখা কোনো বড় বিষয় নয়। তাঁদের যেন সমাজের বোঝা মনে না হয়, বরং সম্মানের সঙ্গে জীবন যাপনের ব্যবস্থা করতে সরকারকে উদ্যোগ নিতে হবে।”

আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন গণফোরামের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, বাংলাদেশ জাসদের সভাপতি শরীফ নুরুল আম্বিয়া প্রমুখ।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY Shipon tech bd